কোরবানির পশু ও স্বাস্থ্যকর গরুর দুধের চাহিদা পূরণ করছে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিষ্ঠান নাবা ডেইরি অ্যান্ড ক্যাটল ফার্ম। রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার মাহিন্দ্রা এলাকায় অবস্থিত এই ফার্মটি ২০২০ সাল থেকে ক্রেতাদের পছন্দের কোরবানির গরু, ছাগলের ফার্ম হিসেবে সারাদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে। বর্তমানে ফার্মটিতে ২৫০০ এর বেশি উন্নত জাতের গরু রয়েছে। যা দেশের মানুষের মাংস, দুধ এবং দইয়ের চাহিদা পূরণ করছে।
কয়েক বছর আগেও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত গরু দিয়েই মিটত দেশের মাংসের চাহিদা। প্রতি বছর কোরবানির সময় দেশ দুটি থেকে আমদানি হতো ২২-২৫ লাখ গবাদিপশু। কিন্তু সেই নির্ভরতা কমিয়ে এখন স্বয়ম্ভরতার পথে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশে পালনকৃত গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি। শুধু তা-ই নয়, গবাদিপশু পালনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বাদশ অবস্থানে রয়েছে।
রাজশাহীতে অবস্থিত নাবিল গ্রুপের এই ফার্মটি কোরবানী এলেই ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে।
সম্পূর্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা স্বাস্থ্যবান গরুগুলো কেনার জন্য রীতিমতো হিড়িক পড়ে যায়। ফার্মটির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার ডা মো আসাদুজ্জামান বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যকর খাবার খাইয়ে গরুগুলোকে আমরা বড় করে তুলি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-যত্নে কোনো কমতি আমরা রাখি না। ফলে আমাদের গরুর চাহিদা সারাদেশেই রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ১৭শ লিটার গরুর দুধ উৎপাদন করছে নাবা ডেইরি অ্যান্ড ক্যাটল ফার্ম। এই দুধ গুণগত মানে বাজারের সেরা দুধ। আমরা গরুগুলোকে যেমন যত্নের সাথে বড় করি, তেমনই দুধ দোহনের ক্ষেত্রেও অবলম্বন করি বিশেষ সতর্কতা। হাত দিয়ে দুধ দোহালে দুধে ব্যাক্টেরিয়া মিশে যাবার আশংকা থাকে তাই আমরা স্বংয়ক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে দুধ সংগ্রহ করি। নির্দিষ্ট সময় পর দুধ ঠাণ্ডা হলে এরপর বাজারজাতকরণের জন্য প্রস্তুত করি। যে কারণে আমাদের দুধ শতভাগ স্বাস্থ্যকর, গুণে ও মানে সেরা। আমরা সবসময় গ্রাহকের সুবিধা চিন্তা করে থাকি ফলে আমাদের কোরবানীর গরু ও গরুর দুধের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।